দুর্নীতি কমাতে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালায় পরিবর্তন আসছে। হালনাগাদ করা হচ্ছে শুদ্ধাচার নীতিমালাও। এক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। সচিব সভায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইশতেহার ও নতুন বাজেট কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিব সভা শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে সরকারি অফিসে সাধারণ মানুষ কতটা সেবা পাচ্ছে তা জোরালোভাবে মনিটরিং করা হবে।
দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জন করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। দুদক তার বিপুল সম্পদ জব্দও করেছে। অথচ তিনিই পেয়েছিলেন শুদ্ধাচার পুরস্কার। এনবিআরের মতিউর, ফয়সালসহ পুলিশ ও প্রশাসনের কয়েকজনের দুর্নীতির তথ্যেও হতবাক সরকার। এ অবস্থায় সচিব সভারও এজেন্ডা ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার এবং সুশাসনের বিষয়টি।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুসারে ৫ বছর পর পর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়। নতুন প্রেক্ষাপটে উচ্চ আদালত প্রতি বছর সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আবার বেনজীরের মতো কর্মকর্তারা শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ায়-এর যাচাই বাছাই নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা ও আচরণ বিধিমালায় পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমানে যেই শুদ্ধাচার নীতিমালাটি রয়েছে, সেটি প্রায় ১০ বছর আগের করা। এটি বর্তমানে আপডেট করার চিন্তাভাবনা করছি। এছাড়া ১৯৭৯ সালের করা আচরণ বিধিটি করার কার্যক্রম চলছে। সেটির অগ্রগতি সম্পর্কে জেনেছি। খুব দ্রুতই এটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
সরকারি অফিসে সেবা পেতে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ-অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হওয়ার অভিযোগ আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এক্ষেত্রে আরও জোরালোভাবে মনিটরিং করা হবে।