জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবেক ও বর্তমান আমলারা। একইভাবে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ ও অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আনতে যাচ্ছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মত দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
সংস্কারের বদলে প্রশাসনে দ্বন্দ্ব লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ আনেন বক্তারা। এমনকি এটি দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ার নেপথ্যের কারণ হিসেবেও বর্ণনা করেন কেউ কেউ। গত তিন নির্বাচনের জন্য একতরফা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়ী করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠিত হওয়া গত দেড় দশকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের দায় নয়, আরও ক্যাডার রয়েছে যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব সামলেছেন বিভিন্নভাবে।
এদিকে, সংস্কার কমিশনের পুরো রিপোর্ট প্রকাশের আগেই নানা সিদ্ধান্ত সামনে আনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এর ফলে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সঙ্কট নিরসনে প্রশাসন ক্যাডারের কনিষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান সাবেক কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়।