
অনেক টানাপোড়েনের পর দীর্ঘ আড়াই বছর বন্দিদশা কাটিয়ে খোলা আকাশের নিচে বেরিয়ে এলেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। মনঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরুপ ও পাচারে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

এদিন কারাগার থেকে বেরোনোর সময় পিকে বলেন, আমি এখন কিছু বলবো না। পরে বলবো।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কার্যত হাত জোর করে পিকে বলেন, আমি আমার আইনজীবীর সাথে কথা বলে পরে সবকিছু জানাবো। এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা উবারে চেপে চলে যান। যদিও তিনি কোথায় গেছেন তা সাংবাদিকদের বলেননি পিকে।
গত শুক্রবার পিকে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার নগর দায়রা আদালত। শর্ত সাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ৬ জনকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) এর কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে আদালতে।