আজ- রাত ১:১১, বর্ষাকাল | বুধবার | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি |
আজ- বুধবার, রাত ১:১১ | ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Banner
Home » Blog » বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে ভাড়ার চুক্তি-দাম বৃদ্ধি অর্থের অপচয়

বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে ভাড়ার চুক্তি-দাম বৃদ্ধি অর্থের অপচয়

০ comment views
Social Share

সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, সরকারের তথ্য মতে, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুতের ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি সরকার করেছে, তা অর্থের অপচয় এবং জনস্বার্থবিরোধী।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য আসে আবার চলে যায়। বিদ্যুতের অভাবে সেচের পাম্পগুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে পানি সেচ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কৃষক ফসল ফলাতে পারছে না।

রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ লাইন ধরেও পাম্পগুলো থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্পগুলো পানি সরবরাহ করতে পারছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুতের ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি সরকার করেছে, তা অর্থের অপচয় এবং জনস্বার্থবিরোধী। জনস্বার্থবিরোধী এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সরকার সে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে না পারলেও সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার জনগণের ওপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিল্প ও কৃষিসহ দেশের গোটা অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রভাব পড়বে। গণবিরোধী সরকার দেশের জনগণকে মেরে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

কুইক রেন্টালের সঙ্গে জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল এবং বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও সকল প্রকার অব্যবস্থাপনা দূর করে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Comment

ফেইসবুক পেইজ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহবুব হুসাইন; (B.Sc & M.S in Geology & Mining; Master’s in Mass Communication & Journalism From Rajshahi University)

অফিসঃ আশিক টাওয়ার ৩য় তালা, মুড়িপট্টি, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
মোবাইলঃ +৮৮ ০১৭৪০-৮৭৬২৮৪
ইমেইলঃ mahabubgmining@gmail.com

তরুণ মাঝি পরিবার

নির্বাহী সম্পাদকঃ- রিজভী আহমেদ
বার্তা সম্পাদকঃ- আব্দুল অলিম রনি

যোগাযোগের ঠিকানা

প্রধান ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

ললিতাহার, খড়খড়ী-৬২০৪, চন্দ্রিমা, রাজশাহী।
মোবাইল:- +৮৮ ০১৫১৫-২২৮০০৫
ইমেইলঃ torunmajhitv@gmail.com

উপদেষ্টা মন্ডলী

মোঃ মনিরুজ্জামান স্বাধীন
প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল ওয়াকিল

@ 2023 – All Right Reserved torunmajhi.com | Design & Developed by CBA IT