যিশুখ্রিষ্ট ভক্তদের পদচারণায় গির্জাগুলো মুখরিত ছিল বুধবার । ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিস্টমাস বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
গির্জায় নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রভু যিশুখ্রিষ্টের স্মৃতিবিজড়িত গো-শালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলো দিয়ে নজর কাড়া ক্রিসমাস ট্রি সজ্জা। বাইবেল পাঠ ও ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করেন খ্রিষ্টভক্তরা। রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা পরিবারের ছোট- বড় সদস্যদের নিয়ে তেজগাঁওয়ের হোলি রোজারি চার্চে আসেন। সরেজমিনে গির্জায় আগতদের কুশলবিনিময় ও প্রার্থনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যায়। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, হিংসা, বিদ্বেষ, অন্যায়, অত্যাচার ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন ধরায়।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে যিশুর আহ্বান ছিল মানবতার সেবায় আত্মত্যাগ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার। গির্জায় আগত সন্দ্বীপ রোজারিও বলেন, বড়দিন পালন করতে সবাইই পরিবারসহ এখানে এসেছেন। আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন তারা। খ্রিষ্টান পুরোহিতরা তাদের প্রার্থনায়, সারাবিশ্বে হানাহানি ও রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি শান্তি কামনা করেন।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও সুদৃঢ় করতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার বঙ্গভবনে বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা। বাংলাদেশকে একটি বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি।