রাবিতে ‘কোরআন পোড়ানো’র ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
রাবি প্রতিনিধি:
গতকাল মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন হলে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে। অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চারটি হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের শনাক্ত করতে পারলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আমি আমার ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যা কিছু করার লাগে আমরা করব। এটা একটি উস্কানি ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা।