বিপিএলে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে শুভ সূচনা করেছে খুলনা টাইগার্স। চিটাগং কিংসকে হেসেখেলে ৩৭ রানে হারিয়েছে তারা। আসরে দুদলেরই এটি প্রথম ম্যাচ।
তৃতীয় ম্যাচেও হয়েছে রান উৎসব। মাহিদুল ইসলামের রেকর্ড ১৮ বলের ঝড়ো ফিফটি আর অস্ট্রেলিয়ান বোসিস্তোর ৭৫ রানের ইনিংসে চিটাগং কিংসকে ২০৪ রানের টার্গেট দেয় খুলনা টাইগার্স। এরপর শামীম হোসেনের ঝড়ো ৭৮ রানের ইনিংসও তার দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
চট্টগ্রাম-খুলনা ম্যাচের বয়স তখন ১৪ ওভার ২ বল। মাঠে নামেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। প্রথম ৩ বলে নেন ১ রান। কিন্তু পরের ওভারেই এক নাম্বার থেকে গিয়ার শিফট করে যেন ৫-এ অঙ্কন। শামীম হোসেনকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকালেন। শরিফুল ইসলামের করা পরের ওভারে তিন ছক্কায় তুললেন ২০ রান। ১৭ ওভার শেষে ১২ বলে ৩৫ রান নামের পাশে মহিদুলের। মোহাম্মদ ওয়াসিমের পরের ওভারে ততটা রান তুলতে না পারলেও শরিফুলের করা ১৯তম ওভারে এক বাউন্ডারি এক ছক্কা ও একটি সিঙ্গেল নিয়ে ১৮ বলে ফিফটি করার কীর্তি গড়েন অঙ্কন। যা বিপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটাদের মধ্যে দ্রুততম।
এর আগে ২২ বলে ৫০ করে রেকর্ডটি ছিল সাকিব আল হাসানের দখলে। তবে দেশি-বিদেশি হিসেব করলে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটি রেকর্ড সুনীল নারিনের। সেটাও আবার মাত্র ১৩ বলে, কুমিল্লার জার্সিতে।
শেষ পর্যন্ত অঙ্কনের অপরাজিত ৫৯ আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্তোর ৫০ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ২০৩ রান করে খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়েও হয়েছে আরেকটি রেকর্ড। সেটা অনেকটা অবিশ্বাস্য। এক বলে ১৫ রান তুলেছেন নাঈম ইসলাম! তবে ‘ছক্কা নাঈম’ হিসেবে পরিচিত অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের চেয়ে এখানে অবশ্য কৃতিত্বটা বেশি খুলনার ক্যারিবিয়ান বোলার ওশানে থমাসের। ম্যাচের ১ম বলে আউট নাঈম, তবে সেটা ছিল নো বল। ফ্রি হিটের ডেলিভারিটা হলো ডট। পরের বলটাও নো, তবে এবার ছক্কা হাঁকালেন নাঈম। এবার যুক্ত হলো সাত রান। ফ্রি হিটের পরের দুই ডেলিভারিতে দিলেন দুটি ওয়াইড। বৈধ ডেলিভারি করার তৃতীয় চেষ্টাতে আবারও নো বল, এবার বাউন্ডারি হাঁকালের নাঈম। এভাবেই মাত্র ১ বলে স্কোরকার্ডে ১৫ রান জমা করেন নাঈম। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক বলে সবচেয়ে বেশি রানের নতুন বিশ্বরেকর্ড।
এরপর আবু হায়দার রনি, হাসান মাহমুদ, মিরাজদের বোলিংয়ে ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে চিটাগং কিংস। তবে এবার শামীম হোসেনের ম্যাজিক। বিপর্যয়ে মাঝেই সমান ৪টি করে ছক্কা আর চারে ২৩ বলে ফিফটি করেন পাটোয়ারি। নিঃসঙ্গ শেরপার মতো ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস করে শামিম আউট হবার পর ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। ৪৪ রান খরচ করে ৪ উইকেট কব্জা করেন খুলনার পেসার রনি।