মহান বিজয় দিবস ১৬ ই ডিসেম্বর। বাঙালির গৌরবময় লাল সবুজের পতাকা শুধু দেশেই নয়, এই বিজয় দিবসে লাল সবুজ পতাকা পৌঁছে গেছে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে। অবদানে রয়েছেন বাংলাদেশী ২৭ অভিযাত্রীর একটি বহর। সেই ২৭ জনের বহরে রয়েছেন রাজশাহীর শিরোইলের দুই ভাই, তানভীর অপু এবং তারেক অণু। তাঁরা হলেন মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা এবং মৃত ইব্রাহিম আলী দেওয়ানের সন্তান। তানভীর অপু এবং তারেক অনু দুই ভাই ভূপর্যটক হলেও তারেক অনু একজন লেখক হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, এমভি প্লানসিয়াস নামের একটি জাহাজে মোট ১১২ জন যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশের ২৭ জন রয়েছেন। পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের শেষ শহর আর্জেন্টিনার উশুয়াইয়া থেকে অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশ্যে এই জাহাজ ৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে। উদ্দেশ্য মহাদেশ ভ্রমণ এবং বাংলাদেশের বিজয় তুলে ধরা। এ লক্ষ্যে তাঁরা সঙ্গে নিয়ে গেছেন লাল সবুজ পতাকা।
ইতিপূর্বে বিশাল অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ঘুরে এসেছেন এ দেশের মাত্র কয়েকজন মানুষ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ইনাম আল হক, যিনি পাখিবিশারদ হিসেবে পরিচিত। ৮০ বছরের চিরযুবা আবদুল জলিল। আছেন ১১ বছরের জারিতা। সে কানাডা থেকে যোগ দিয়েছে মা-বাবার সঙ্গে। এছাড়াও বহরে আছেন ১০ জন নারী।
বাংলাদেশি ২৭ অভিযাত্রীর মধ্যে ১৩ জন গেছেন দেশ থেকে। অন্যরা প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ওমান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়ে গিয়ে আর্জেন্টিনায় যোগ দিয়েছেন এ বহরের সঙ্গে। নানা পেশা ও বয়সের এই অভিযাত্রীরা বয়ে নিয়ে গেছেন দেশের লাল-সবুজ পতাকা। এই বহরে আছেন পর্যটক ও লেখক তারেক অণু ও ভূপর্যটক তানভীর অপু নামের দুই ভাই।
তারেক অনুর ১০ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি গ্রুপ ছবির পোস্টে ‘অ্যান্টার্কটিকার পথে ২৭ জন বাংলাদেশি’ (সবাই অবশ্য ছবিতে নেই) ক্যাপশনে পোস্ট দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে ১১ থেকে ৮০ বয়সের নানা পেশার, কিন্তু ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিদের দেখা গেছে।
১০ ডিসেম্বর রাতে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্য এবং তারেক অনুর ভাই তানভীর অপু জানান, ফকল্যান্ড দ্বীপ থেকে দক্ষিণ জর্জিয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদের জাহাজ ছেড়েছে। আড়াই দিন লাগবে পৌঁছাতে। যে ছবিগুলোতে দেখা গেছে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের ওয়েস্ট পয়েন্ট, সন্ডার্স আর স্ট্যানলি দ্বীপের দৃশ্য।
তানভীর অপু বলেন, এটা অনেক বড় একটা ভ্রমণ হচ্ছে। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন। বিশেষ করে ওয়াইল্ড লাইফ যা দেখছি—তিমি, পেঙ্গুইন, পাহাড়—এসব দেখা জীবনের স্বপ্ন ছিল।’ তবে, এই ভ্রমণের বিশেষত্ব ছচ্ছে বাংলাদেশকে বিজয়ের মাসে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করা। এই ভ্রমণ শেষ হবে ২৫ ডিসেম্বর।