
বিগত ২০১৫ সালে শহিদুল ইসলামকে ক্রসফায়ারে পুলিশের গুলিতে হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শহীদ শহিদুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহনগরের সাংগঠনিক সেক্রেটারী জসিমউদ্দিন সরকার।

শনিবার (৮ মার্চ) শহীদ শহীদুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশু পার্কে নিহত শহিদুলের খুনিদের বিচার ও মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি আরোও বলেন, শহীদ শহীদুল জিবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন যে, দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দিতে পারি কিন্তু বাতিলের সাথে আতায়াত করার শিক্ষা পরিবার বা আন্দোলন থেকে পাইনি। ফাঁসির দড়িতে প্রয়োজনে ঝুলতে রাজি আছি তবুও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বাতিলের কাছে মাথা নত করি নাই বলেও জানান তিনি।
শহীদ শহিদুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আরোও বলেন, আমরা তাগুদের কোন আইন চাই না। আমাদের ত্রæটি-বিচ্যুতি হলে ধরিয়ে দিবেন। আমাদের ভুল থাকলে সংশোধন করে দিবেন। কিন্তু যমিনের উপরে আল্লাহর আইন ছাড়া তাগুদের আইন মানার কোন বিধান নেই বিধান নেই।
রাজশাহী মহানগর যুব বিভাগের সেক্রেটারী সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও রাজশাহী সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাহবুবুল আহসান বুলবুল, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রকল্পসমূহের পরিচালক ইমাজউদ্দিন মন্ডল, বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী গোলাম মুর্তুজাসহ আরোও অনেক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। বিগত বছরে বাতিল শক্তি আমাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন করলেও এই ময়দানে ইকামাতে দ্বীনের কাজ বন্ধ করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী এদেশে গণমানুষের প্রাণের সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। মানুষ এখন দলে দলে জামায়াতের সহযোগী হয়ে উঠছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশ রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষ এখন সৎ লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে মানুষ, আর সেই সৎ লোক জামায়াতের মধ্যে আছে এ কথাও জনগণ বুঝে গেছে।
তিনি আরোও বলেন, আমাদের দায়িত্বশীলদের জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে। বিনয় ও আন্তরিকতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে হবে। তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের শুধু জামায়াতের নেতা নই, আমাদের নিজ ময়দানে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নেতায় পরিণত হতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে হবে। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে বলেও জানান তারা।