
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়েছে কিউইরা। ৩৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩১২ রানে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস। নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২০ ও ব্যক্তিগত ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেল্টন। ম্যাট হেনরির বলে মাইকেল ব্রেসওয়েলের তালুবন্দি হন তিনি।

এরপর ফন ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে ১০৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন টেম্বা বাভুমা। অর্ধশতক তোলার কিছুক্ষণ পরেই ব্যক্তিগত ৫৬ রানে স্যান্টনারের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাভুমা। ৬৯ রানে স্যান্টারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ডুসেন।
১৬১ রানে যখন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের বিদায় ঘটে তখনও জয়ের জন্য দুই শতাধিক রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার।
নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকায় দলীয় ৫৭ রান যোগ হতেই একে একে বিদায় নেন ৫ ব্যাটার, যাদের মধ্যে চারজনই আউট হন এক অঙ্কের রানে। সাজঘরে ফেরেন ক্লাসেন, মার্করাম, মুল্ডার, জানসেন ও কেশব। তাদের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩, ৩১, ৮, ৩ ও ১ রান।
শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ডেভিড মিলার। তুলে নেন শতক। রাবাদার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
কিউইদের পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নেন মিচেল স্যান্টনার। ২টি উইকেট পান গ্লেন ফিলিপস ও ম্যাট হেনরি।
এর আগে, রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসনের জোড়া শতকে ভর করে ৩৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় কিউইরা। উইলিয়ামসনলে সঙ্গে নিয়ে ১৬৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন রবীন্দ্র। শতক তুলে নিয়ে রাবাদার বলে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে খেলেন ১০৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১০২ রান করে উইয়ান মুল্ডারের বলে লুঙ্গির তালুবন্দি হন উইলিয়ামসন।
বাকি ব্যাটারদের মধ্যে গ্লেন ফিলিপস ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ব্যাটে আসে যথাক্রমে ৪৯ ও ১৬ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। প্রোটিয়াদের পক্ষে ৩টি উইকেট তুলে নেন লুঙ্গি। এছাড়া ২টি উইকেট পান রাবাদা।
রোববার (৯ মার্চ) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। শেষবার ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিউইদের। অপরদিকে, টানা তিন ফাইনাল খেলতে নামবে ভারত। ২০১৩ সালে ইংলিশদের হারিয়ে শিরোপা জিতলেও সবশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় মেন ইন ব্লু’রা ।