
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে প্রতীকী হালখাতা। ছাত্রলীগ নেতারা দোকানে দোকানে বাকি খেত। সেই টাকা পরিশোধ করত না। এই চর্চা বন্ধে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এ প্রতীকী হালখাতার আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় দোকানে বাকি খেয়ে থাকেন। বিগত আওয়ামী দুঃশাসনে অনেক শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক প্রভাব বা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দোকানগুলোতে বাকি করে এবং দীর্ঘসময় তা পরিশোধ করে না অথবা কখনোই পরিশোধ করে না। আমাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বা দুর্বল দোকানিরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ে, কারো কারো স্থায়ীভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। এই চর্চা বন্ধের লক্ষেই এই আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী অন্বেষা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমরা বটতলায় প্রতীকী হালখাতার এই টেন্টে অবস্থান করছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বটতলার বিভিন্ন দোকানে ও হলের ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার যে একটি প্রথা চালু করেছিল সেই প্রথাটিকে সম্পূর্ণরূপে বিদায় জানাতে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সচেতনতামূলক বার্তা পাঠাতে আজকে আমরা এই টেন্টের আয়োজন করেছি।
বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। বাংলা নববর্ষে হালখাতার মতো বাংলার পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলো যেন হারিয়ে না যায় সেজন্যই আমরা প্রতীকী হালখাতার আয়োজন করেছি। আমরা দেখেছি, বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকান ও হলের ক্যান্টিনে হাজার হাজার টাকা বকেয়া রেখেছে। আমরা চাই, বিভিন্ন দোকানে থাকা বাকিগুলো তারা পরিশোধ করে নতুন বছরে হালখাতায় নাম লিখুক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতীকী হালখাতায় অংশ নেন।