যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন সোশ্যাল অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট (সাবা) Hand to hand bring a new morn অর্থাৎ হাতে হাতে নিয়ে এসো নতুন সকাল স্লোগানকে সামনে রেখে শীতার্তদের জন্য উষ্ণ ভালবাসার আয়োজন করেছে ।
মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) রাজশাহী মহানগরী ডাবতলার জুজো ল্যান্ড কিডস্ জোন এন্ড ফুড কর্নারে বিকাল ৪টার সময় অনুষ্ঠিত হয় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ জন বয়স্ক, অসহায়, হত-দরিদ্র, প্রতিবন্ধীসহ এতিম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করা হয় এই কম্বল।
রাজশাহী সানবিম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর তৌহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, সাবা একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। রাজশাহীতে যাদের বাড়ি কিন্তু দেশের বাইরে থাকে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে যা ইতি মধ্যেই অনেক সুনাম কুড়িয়েছে।।।
সাবা বাংলাদেশের পরিচালক এস, এম, সোহানুর রহমান সোহান বলেন, সাবার যাত্রা করোনার কারণে শুরু করা হলেও বন্যার্ত, শীতার্তসহ গরিব অসহায় মানুষের পাশে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে চলেছে। এবার ৩টি ক্যাটাগরিতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং এতিম হাফেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এই কম্বল।
ভবিষ্যতে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে সাবা সব সময় অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।
সাবা’র প্রতিষ্ঠাতা ও নিউজবিডিইউএস’র সম্পাদক এস এম জাহিদুর রহমান জানান, শীতে সারা দেশের অসহায় মানুষ খুবই কষ্টে দিনতিপাত করছে। শীতের কষ্ট লাঘবে কম্বলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করেছি। এসময় শীতার্তদের শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিগত বছরে গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক জাহিদুর রহমানের উদ্যোগে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী মিলে দুস্থ-অসহায় ও দেশ-জাতির কল্যাণের নিঃস্বর্থে কাজ করতে সাবা’র কার্যক্রম শুরু করে। বিশেষ করে সারা বিশ্বে করোনা মহামারীতে অসহায় মানুষের কথা ভেবে পথচলা শুরু করে তারা।
খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের মানুষের সহযোগিতা করে বেশ সাড়া ফেলে। বিশেষ করে উত্তারঞ্চলে সাবা’র কার্যক্রম দেখে অত্যন্ত খুশি সাধারণ মানুষ।
ইতোমধ্যে কয়েক হাজার দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে। বিগত মসয়ে যখন উত্তারঞ্চলে বন্যায় মানুষ বাড়িঘর, দোকানপাট, বসতভিটা, জমি-জিরাত ও ফল-ফসল হারিয়ে যখন দুর্বিষহ কষ্ট করছিল। তখন চাল, ডাল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসমগ্রী নিয়ে শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে হাজারখানিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করে সাবা।