আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ‘ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল’ ব্যানারে মিছিলটি কলাভবন প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আপনারা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে কাজ করুন। আপনাদের ওপর কি কেউ বন্দুক ধরে রেখেছে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে কাজ করুন। আমরা আপনাদের ব্যর্থ হতে দেব না।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আন্দোলনের সময় হত্যায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলেন, আহতদের চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আমাদের জানান।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগকে এদেশের জনগণ চায়, তাহলে তাদের (আওয়ামী লীগের) ব্যাপারে গণভোটের আয়োজন করুন। একই সঙ্গে যারা তাদের (আওয়ামী লীগকে) চায় তাদেরকেও আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ চায় কিনা এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের দোসররা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারবে না। গণহত্যাকারী কর্মকর্তাদের ডিভিশন বাতিল করতে হবে ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশের ১০০ দিন পার করছি। আমরা দেখছি, ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে তারা ঘুরাফেরা করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও তাদের অংশগ্রহণ দেখছি। আমরা তাদের প্রতিহত করব।