বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একটি এজেন্ডায় আটকে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত চেষ্টা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনে তিনি এ কথা বলেন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন, এই বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
“আমাদের সম্পর্ক কোনো একটি এজেন্ডা বা এক ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না,” প্রণয় ভার্মা বলেন।
তার মতে, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরতার যে বাস্তবতা, তা রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হলেও বারবার সামনে চলে আসবে।
“আমরা (ভারত) বিশ্বাস করি এই সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের। নিজেদের জনগণের স্বার্থে ভারত এ সম্পর্ককে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাবে,” প্রণয় ভার্মা বলেন।
সীমিত ভিসা কার্যক্রম
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা দেয়া হচ্ছে না, কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজন ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের ভিসা ও মেডিকেল ভিসা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ভারতের ভিসা কার্যক্রম সীমিত বলে স্বীকার করেছেন হাইকমিশনার, তবে সেই সঙ্গে বলেছেন, “আমরা এখনও এখানকার অন্য যেকোনো কূটনৈতিক মিশনের চেয়ে বেশি ভিসা ইস্যু করি।”
ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের সাথে সম্পর্কের টানা-পোড়েন সৃষ্টি হয়। ভারতের সরকার সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তবে বাংলাদেশ বলছে, হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও, সেগুলো ভারতে অতিরঞ্জিতভাবে সম্প্রচার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বিবিসি হিন্দি ভাষা সার্ভিসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতকে ভাবতে হবেনা।”
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা