হত্যা মামলার এজাহারে কাদের আসামি করা হয়েছে তা জানেন না বাদী। এমনকি পুলিশ মনগড়া তথ্য দিয়ে মামলাটি রেকর্ড করেছে। রাজশাহীর মোহনপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সাদ্দাম আলীর স্ত্রী মামলার বাদী রেহানা বিবি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন। সোমবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় নিহত সাদ্দামের ভাই বুলবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রেহানা বিবি বলেন, আমার স্বামী হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ কর্মী একসার আলীসহ মোট ছয়জন জড়িত। মোহনপুর থানায় হত্যা মামলা করার জন্য এজাহার নিয়ে উপস্থিত হই। তখন পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমি মামলার কপি চাইলে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি নতুন করে মামলা করতে চাইলে আমার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের কথা বলে আমার কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিল। সেই স্বাক্ষর দিয়ে আমাকে মামলার বাদী করা হলেও কিছুই জানানো হয়নি। হত্যার মূল ঘটনাকে আড়াল করে মনগড়া এজাহার লেখা হয়েছে। আবার এমন সব লোককে আসামি করা হয়েছে যাদেরকে আমরা চিনি না এবং আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৬ সেপ্টেম্বর মোহনপুরের পালশা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে সাদ্দামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ধুরইল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, বাদী যেহেতু অভিযোগ করছেন সেহেতু তদন্তের সময় তার মতামত নেওয়া হবে। কেউ জড়িত না হলে বাদ দেওয়া হবে।