
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ২৭ ব্যাংক হিসাবের ১৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আনিসুল হকের অবৈধ পথে অর্জিত অস্থাবর-সম্পদ জায়গায় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করারও চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কাজ শেষ হওয়ার আগেই সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই আনিসুলের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন।
এর আগে ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের নামে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।
মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজের নামে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ১৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
মামলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সরকার পতনের পর গতবছর ১৩ আগস্ট সদরঘাট থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।