
তিন ম্যাচ টেস্টে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ভারত। এতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হাতছাড়া করে রোহিত শর্মার দল। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না ভারতের সামনে। এমন সমীকরণ নিয়ে মুম্বাই টেস্টে মাঠে নামে স্বাগতিকরা। রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে কিউইদের কাছে ২৫ রানে হেরেছে ভারত।

এতেই ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। সবশেষ ২০০০ সালে ঘরের মাঠে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা। সেই সিরিজটি ২-০ তে হেরেছিল ভারত।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ড্যারি মিচেল ও উইল ইয়োংয়ের ব্যাটে ভর করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। মিচেল ৮২ ও ইয়োং করেন ৭১ রান। জাদেজা ৫টি ও ওয়াশিংটন নেন ৪টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন শিবমন গিল। এছাড়া রিঝভ পন্থ করেন ৬০ রান। আজাজ প্যাটেল নেন ৫টি উইকেট। ২৮ রানের লিড পায় ভারত।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ফের ৫ উইকেটের দেখা পান জাদেজা। ইয়োংয়ের ফিফটিতে ভর করে ১৭৪ রানে অলআউট হয় কিউইরা। ৫১ রান করেন ইয়োং।
জয়ের জন্য ১৪৭ রানের টার্গেট দাঁড়ায় ভারতের সামনে। এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। রোহিত ১১, গিল ১, বিরাট কোহলি ১, জয়সাওয়াল ৫ ও সরফরাজ ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন পন্থ। তার ব্যাটে ম্যাচে ফিরে ভারত। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অন্য ব্যাটাররা। দলীয় ১০৬ রানে ৫৭ বলে ৬৪ রান আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
পন্থের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ২৯ ওভার ১ বলে ১২১ রানে অলআউট হয় ভারত। আজাজ প্যাটেল ৬টি ও গ্লেন ফিলিপস নেন ৩টি উইকেট।