রাজশাহী মহানগরী এলাকায় এক অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ । গত রবিবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার ভুগরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত (৬৫) বছর বয়সী ঐ অটো চালকের নাম সিরাজুল ইসলাম । তার বাড়ি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কাঞ্চন গ্রামে ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার বিরস্তইল ডালাপুকুর গ্রামের মো: সেলিম ইসলামের ছেলে ফিরোজ আলী এবং শাহমখদুম থানার ভুগরইল খুবিরের মোড়ের মো: আকমল হোসেনের ছেলে রাতুল এবং বোয়ালিয়া থানার অলকার মোড় রানীবাজারের মো: নূর ইসলাম মিলনের ছেলে শুভ বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকতার।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫ টায় আসামিরা একটি অটোরিকশা বিক্রির জন্য রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চক ভাগাইল এলাকায় যায়। সেখানে অটোরিকশায় রক্তের চিহ্ন দেখে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হয়। এছাড়াও আসামিদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। চক ভাগাইল এলাকা কর্ণহার থানার নিকটবর্তী হওয়ায় খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করে কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অটোরিকশাসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, তারা যাত্রী সেজে গত (২০ অক্টোবর) রাত ১০ টায় রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে সিরাজুল সরকার নামক এক ব্যক্তির অটোরিকশা ভাড়া করে। এরপর তারা তাকে নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভোলাবাড়ী এলাকায় যায়। সেখানে আসামিরা সিরাজুলকে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে। পরে সিরাজুলের লাশ পাশের কলাই ক্ষেতে পুঁতে রাখে। ঘটনাটি এয়ারপোর্ট থানায় হওয়ায় কর্ণহার থানা পুলিশ আসামিদের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে। এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ আসামিদের দেখানো মতে এয়ারপোর্ট থানার ভোলাবাড়ী এলাকায় মাটি খুড়ে সিরাজুল সরকারের লাশ উদ্ধার করে।
ওসি শাহিন আকতার আরও জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।