
মিরপুর টেস্ট প্রথম দিনেই সাক্ষী হয়েছে ১৬ উইকেটের। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর নিজেদের ইনিংসেও ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। এদিন প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন আপের ভিত্তি নড়বড়ে করে দেবার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের ১৩তম ফাইফারের দেখা পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানকে টপকে টাইগারদের হয়ে দ্রুততম ২০০ টেস্ট উইকেটের মালিক বনে গেলেন তাইজুল।

২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্ট দিয়ে তাইজুলের টেস্ট অভিষেক। ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। সাকিব ছিলেন বলে তবু দেশের বাইরে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি কমই। পরে মিরাজের উত্থানে আরও কমে আসে দেশের বাইরে তার সুযোগ। তবে দেশের মাঠে বরাবর তিনি বড় ভরসা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল বলেন, ২০০ উইকেট পাওয়া ভালো লাগার বিষয়। বাংলাদেশ অনেক বেশি টেস্ট খেলে না। ২০০ উইকেট পেয়েছি গর্বের নয়, তবে ভালো লাগছে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানকে ছাড়া মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। তবে সাকিব না থাকায় তেমন কোনো সমস্যা দেখছেন না টাইগার এই স্পিনার। তার পাশাপাশি সাকিবের চেয়ে যেন বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেটার পায়, সেটাও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তিনি।
তাইজুল বলেন, আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতছি, সাকিব ভাই ছিল না, আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এখানে ম্যাচ জিতছি; সাকিব ভাই ছিল না। আপনি তো একটা খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দো’আ করবেন যাতে তার মতো আরও ভালো ক্রিকেটার বাংলাদেশে তৈরি হয়। কারণ, তার (সাকিব) মতো ক্রিকেটার দলে থাকা অনেক কিছু।
এর আগে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে কোনো প্রতিরোধই করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে এতে উইকেটের দোষ দেখছেন না তাইজুল। তিনি বলেন, উইকেট দোষ দেয়ার কিছু নাই। আমরা ভালো খেললে ভালো ফলাফল করবো। উইকেট বিষয় না। চেষ্টা থাকবে দ্রুত অলআউট করতে হবে।
তাইজুলের রেকর্ডের দিনে প্রোটিয়া বোলার রাবাদাও গড়েছেন রেকর্ড। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি।