
ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় শেষ পর্যন্ত ইউরোপের অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে। তবে মস্কো প্রথমে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির আগে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই মন্তব্য করেছেন।

সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী পালন করছে ইউক্রেন। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনে হাজার হাজার বেসামরিক নিহত ও লাখ লাখ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।
এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাননি তিনি।
রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে পুতিন বলেছেন, ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতকে আবেগের সঙ্গে নয়, যৌক্তিকভাবে অনুধাবন করেছেন। তবে ট্রাম্পের যত তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধের শেষ চান, বিষয়টি সেরকম নাও হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথোপকথন এবং রিয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনা উভয়ই ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, তবে যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা কেবল একমত হয়েছি যে, যুদ্ধ বন্ধের দিকে আমরা এগিয়ে যাব। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা ইউরোপীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করছি না।
গত সপ্তাহে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইউক্রেন ও কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা।
এই বিষয়ে পুতিন বলেছেন, রিয়াদে আলোচনায় ইউরোপের কিছুই ছিল না। কারণ ওই বৈঠকে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মাঝে আস্থা স্থাপনের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছিল।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জটিল ও কঠিন সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়কে প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি কীভাবে হবে? দুই দেশের আস্থার স্তর বাড়ানোর জন্য প্রথম এই পদক্ষেপ হওয়া গ্রহণ করা উচিত। এর সঙ্গে ইউরোপীয়দের কী সম্পর্ক আছে?
সূত্র: রয়টার্স।