পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আইজিপি আরও বলেন, অপরাধ দমন, জনগণের সম্পত্তির নিরাপত্তা প্রদান ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহীর চারঘাটে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের (২০২৩ ব্যাচ) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম এ সময় ক্যাডেট এসআইদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন । এবারের কুচকাওয়াজে ২২ জন নারী অফিসারসহ ৪৮০ জন শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এসআই অংশ নেন।
প্যারেড পরিদর্শন শেষে আইজিপি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে ক্যাডেট এসআই বদিউজ্জামান, বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এসআই নজরুল ইসলাম, বেস্ট শ্যুটার ও বেস্ট সুইমার হিসেবে শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এসআই নয়ন কুমার ঢালী এবং সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এসআই আরিফুল ইসলামকে বেস্ট ক্যাডেট পদক দেওয়া হয়। পরে নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান।
বাহারুল আলম আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সংস্থায় উন্নীত করতে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের এই মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে সবাই একাত্ম। পরিবর্তিত সমাজের সারথী হিসেবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় জনসেবায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। তিনি বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। কারণ ৯০ ভাগ ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত আপনারা করে থাকেন। নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় আতœনিয়োগ করার আহŸানও জানান তিনি।
এদিকে পুলিশ একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শুরুর পরই নানা অভিযোগে ডিসচার্জ হন ২২ জন। গত ৪ নভেম্বর ৮০১ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই দফা প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের সময় নির্ধারণ হলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়। এর মধ্যে নাস্তা না খেয়ে হইচই, ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন, ১৮ নভেম্বর তিনজন এবং সবশেষ ১ জানুয়ারি আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।