পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত রহস্যে ঘেরা এক বন আমাজন। ব্রাজিলের ৬০ শতাংশজুড়ে অবস্থিত এই বন বহুকাল ধরেই আলোচিত। এই বন এতটাই ঘন যে, এর অনেক জায়গায় এখনো সূর্যের আলোই প্রবেশ করেনি। এখানে বসবাস রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে হিংস্র আর ভয়ংকর সব প্রাণীর। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বনের আলোচিত কিছু ভয়ংকর প্রাণী সম্পর্কে, যার রহস্য ঘেরা চাদর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি কেউ।
ব্যাঙ, যা সবার পরিচিত প্রাণী। একে দেখে বেশ নিরীহ প্রাণীই মনে হয়। তবে নিরীহ এই প্রাণীটির এক ভয়ংকর প্রজাতির বাস আমাজন বনে। এই প্রজাতির ব্যাঙকে মূলত বলা হেয়ে থাকে পয়জন ডার্ট ফগ। আমাজনে বসবাসকারী এ ক্ষুদ্র ব্যাঙগুলো পৃথিবীর বিষাক্ত প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। এর বিষ রয়েছে শরীরের চামড়ার ওপরে। এই ক্ষুদ্রাকৃতির উজ্জ্বল রঙের ব্যাঙকে শিকারিদের দূরে রাখার এক সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত। পয়জন ডার্ট ব্যাঙ মাত্র দুই ইঞ্চি লম্বা, কিন্তু এর বিষ দশজন শক্ত-সমর্থ মানুষকে মেরে ফেলতে যথেষ্ট।
আমাজন বন সম্পর্কে জানেন কিন্তু এনাকোন্ডার নাম শোনেনি এমন মানুষ পাওয়া বিরল। আমাজনকে বলা হয়ে থাকে এনাকোন্ডার আবাসস্থল। এই এনাকোন্ডারই অরেক জাত গ্রিন এনাকোন্ডা। একে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ। আমাজন নদীতেই এদের দেখা মেলে। এনাকোন্ডার মাথাটি মানুষের মাথার সমান প্রায়।
মাছ অতি প্রিয় খাদ্য হিসেবেই চিনে থাকি আমরা। আমিষে ভরপুর এই মাছটির যে এক ভয়ংকর প্রজাতির বাস আমাজনে তা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। এই মাছের মধ্যে রেড বেলি পিরানহা খুবই ভয়ানক। বলা হয়ে থাকে এই মাছকে আমাজন নদীর ত্রাস বলা হয়। সাধারণত এরা ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। শিকার করে দলবদ্ধভাবে। এদের ধারালো দাঁত দিয়ে নিমেষে বড় কোনো পশুকে নিমিষেই সাবাড় করে দিতে পারে।
ভিমরুলকে আমরা চিনে থাকি বিষাক্ত প্রাণী হিসেবে। যদিও এটি তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না বলেই জেনে এসেছি। তবে আমাজন বনে এর এক ভয়ংকর প্রজাতি আছে। বনের এসব প্রজাতিগুলো আমাজনের বিপজ্জনক প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে।