কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে, এমনকি আরও কম হতে পারে।
তবে বাংলাদেশের অনেক পত্রিকা এ বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, কেউ কেউ লিখেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে’। প্রকৃত অর্থে তিনি এমন কথা বলেননি। অনেকে ভালোমতো না শুনেই একটা হেডলাইন দিয়ে দিচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন— সংবিধানের বিষয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে, সেখানে বলা হচ্ছে সংসদের মেয়াদ চার বছরে আনা হোক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, এটা কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয় না। তখন ওনাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনার ক্ষেত্রেও চার বছর কি না? তারপর প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— চার বছরের কম। এখানে চার বছরের কথা বলা হয়নি। আপনারা ভালোমতো শুনুন। আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকেই ভালোমতো না শুনে একটা হেডলাইন দিয়ে দিচ্ছেন।
সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে টিআইবির দেওয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালে রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সরকার উদ্যোগ নেওয়ায় ডিমের দাম কমেছে। অন্যান্য দ্রব্যের দামও নিম্নমুখী। গত বছর কাঁচা মরিচের দাম ১২শ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। আমাদের চেষ্টার অন্ত নেই। আমরা দেখলাম দুটো পত্রিকায় আলুর দাম চারশ টাকা হয়েছে এমন একটা তথ্য দিচ্ছে। মনে হচ্ছে মূল আলুর দামই চারশ টাকা! এটা খণ্ডিত চিত্র, মিসলিডিং প্রতিবেদন।
সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে সরকার সচেতন আছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশের দেওয়া অপরাধ পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলার ভালো উন্নতি হয়েছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ভালোর দিকে যাচ্ছে।
প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, যাদেরকে আমরা যোগ্য মনে করছি, যারা কাজগুলো করতে পারেবেন, প্রশাসনে ডায়নামিজম আনতে পারবেন তাদের নেওয়া হচ্ছে। যাদের নেওয়া হচ্ছে তাদের ভালো ট্র্যাক রেকর্ড আছে।
আন্দোলনের কারণে আরব আমিরাতের জেলে বন্দি বাংলাদেশিদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।