
কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হঠাৎ একযোগে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী।

রোববার (১৭ নভেম্বর) কিয়েভ-ওডেসাসহ ইউক্রেনজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তিন বছরের যুদ্ধে এ ধরনের একযোগে হামলা খুব কমই হয়েছে।
এতে বেশ কয়েকজন নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংস হয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য জ্বালানি উৎপাদন স্থাপনা।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের হামলায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯০টি ড্রোন ব্যবহার করে মস্কো।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশজুড়ে ১৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে এ সংখ্যাটি বৃহত্তম। এবারের ব্যারেজে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ, ব্যালিস্টিক এবং বিমান থেকে উৎক্ষেপণ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ছিল। এসব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে রাশিয়ার বাহিনী।
জেলেনস্কি মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছেন, শত্রুর লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনজুড়ে আমাদের এনার্জি অবকাঠামো ধ্বংস করা। দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া তেমন সফলতা পায়নি বলে দাবি তার।
এদিকে যুদ্ধ আর একতরফা নেই। ইউক্রেনও রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে মস্কোতে অন্তত ৩৪টি ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে ইউক্রেন। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ রাজধানীতে কিয়েভের এটি ছিল সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা, যেখানে এত বেশি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানান, মস্কোর রামেনস্কোয়ে ও কলোমেনস্কি ডিস্ট্রিক্ট এবং প্রধান বিমানবন্দর ডোমোদেদোভো শহরের কাছাকাছি উড়ে আসা ৩৪টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে রুশ বিমানবাহিনী। তিনি আরও বলেন, হামলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। রাশিয়ার ফেডারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় ডোমোদেদোভো, শেরেমেতেভো ও ঝুকোভো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু সময় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার পর আবার চালু করে।