তিনদিন পার না হতেই ভারতে ফের গ্রেফতার হয়েছেন ৪ নারীসহ মোট ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর সীমান্তের তারালি ও বিথারী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরার সময় কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন তারা।
পরে তাদেরকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিথারি ও তারালি বর্ডার আউট পোস্টের বিএসএফ সদস্যরা।
পরে সবাইকে রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরিশালের মনোজ দাস ও মজনু সিকদার, মাদারীপুরের মো. হাওলাদার, সাতক্ষীরার সেলিম রাজা মন্ডল ও বিলকিস নাহার, ঢাকার জোহরা বেগম এবং যশোরের রুমি খাতুন ও ফিরোজ মল্লিক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস আগে তারা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ থেকে দালালের মাধ্যমে বিথারী ও তারালি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরিচয় গোপন করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল তারা। নিজেদের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের টাকাপয়সা ক্রমশ ফুরিয়ে আসায় শনিবার রাতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরার আগেই বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে এবং স্বরূপনগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তবে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে তারা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখেছে। তাদের নাম ও পরিচয় সঠিক কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
এদিকে, বসিরহাট মহকুমা আদালত বন্ধ থাকায় ওই ৯ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতের পুলিশ কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক গ্রেফতারকৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর কমিশনারেটের খড়দহ থানার পুলিশ ৮ বাংলাদেশি নাগরিককে তিনটি পৃথক জায়গা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় জানা যায় যে, তারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ দলের সক্রিয় নেতাকর্মী ছিলেন।