ম্যাচের অধিকাংশ সময় দাপট দেখাল স্পেন। দুই গোলের লিড নিয়ে চালকের আসনে বসে তারা। তাদের একটি ভুলে ডেনমার্ক ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিলেও, শেষ পর্যন্ত নাটকীয় কিছু হয়নি। আগেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া শিরোপাধারীরা আরেকটি জয়ে হলো গ্রুপের সেরা।
কোপেনহেগেনের পার্কেন স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।
মিকেল ওইয়ারসাবাল সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান আয়োসে পেরেস। ডেনমার্কের হয়ে একটি গোল শোধ করেন গুস্তাভ ইসাকসেন।
ড্রয়ে আসর শুরুর পর টানা চার ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল স্পেন। পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপের শীর্ষে আছে ২০২৪ ইউরো জয়ীরা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডেনমার্ক।
একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র করে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে সার্বিয়া। ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সুইসদের।
এই গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক ও সার্বিয়া।
এক পয়েন্ট পেলেই গ্রুপ সেরা, এমন সমীকরণে ডেনমার্কের মাঠে খেলতে নেমে দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। পেদ্রো পোরোর থ্রু বলে বক্সে প্রথম স্পর্শে পেরেসের শট ক্রসবারে লাগে।
গোলের জন্য বেশিক্ষণ অবশ্য অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাদের। পঞ্চদশ মিনিটে মেলে সাফল্য। পেরেসের পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান ওইয়ারসাবাল।
২৮তম মিনিটে পেরেসের শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি কাসপের স্মাইকেল। ৩৯তম মিনিটে দানি ওলমোর প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক।
৫৮তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেরেস। ওলমোর থ্রু বল ধরে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিয়ারেয়ালের উইঙ্গার।
খানিক পরই চোট পেয়ে কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়েন স্পেনের আলেক্স বায়েনা।
৭৮তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পাননি ইসাকসেন। তার কোনাকুনি নিচু শট পোস্টে লাগে। প্রতিপক্ষের উপহার পেয়ে ৮৪তম মিনিটে ব্যবধান কমান তিনি।
পেছনে না তাকিয়েই ফাবিয়ান রুইস ব্যাক-পাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে, ইসাকসেন ছিলেন তৎপর। ছুটে গিয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
একেবারে শেষ মুহূর্তে আলেসান্দারের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে পয়েন্ট পাওয়ার আশা শেষ হয়ে যায় ডেনমার্কের।