রাজশাহীতে গত নভেম্বরের ৫ তারিখে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে উম্মে হানী শিলা কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা দ্বারা জমি দখলের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর মতিহার থানা জামায়াতে ইসলামী ৩০ নং ওয়ার্ডের আয়োজনে নগরীর বুধপাড়ায় নজীরের মোড়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বুধপাড়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল করিমসহ ৩০নং ওয়ার্ডের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
এদিকে অত্র এলাকার জামায়াত নেতা অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন এবং সাবেক কাউন্সিলর অধ্যাপক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন মতিহার থানার বিএনপির সদস্য সচিব এবং ৩০ নং ওয়ার্ডের আহবায়ক মিলনের স্ত্রী উম্মে হানি শিলা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মিলনের স্ত্রী উম্মে হানি শিলার জমির পেছনে বুধপাড়া আলীম মাদ্রাসার ৫ শতাংশ জমিসহ বসতবাড়ি থাকায় তাদের বের হবার বিকল্প কোন রাস্তা নাই। স্থানীয় সালিশে পাশের জমির মালিক আহসান হাবীব এবং মিলন উভয়েই রাস্তা ছাড়তে রাজি হলেও মিলনের স্ত্রী সালিশের ফায়সালা না মেনে চলে যায়। বুধপাড়ার পাশ দিয়ে হাইওয়ে রাস্তা হবার প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই সেখানে বসতবাড়ি এবং মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের জন্য জমি বরাদ্দ ছিলো বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন জানান, এলাকার সালিশে মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বললে প্রথসে মিলন জমি দিতে রাজি হলেও তার স্ত্রী রাজি হয় না। আর আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের কারণে জমিটি মানবিক দিক থেকে সুপারিশ করেছিলাম বলেও জানান তিনি।
এদিকে সাবেক কাউন্সিলর অধ্যাপক আব্দুস সামাদ জানান, মিলন এবং তার স্ত্রী মাদকসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত। যাদের চরিত্রের ঠিক নাই তারাই মূলত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বুধপাড়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল করিম সিদ্দিকী জানান, আমরা নায্য মূল্য দিয়ে অন্তত ২ ফিট রাস্তা কিনতে চাই । এ বিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকাবাসি রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেয় বলেও জানান তিনি।