২৩৬ রানের লক্ষ্যটা একদিনের ক্রিকেটে আহামরি কিছু নয়। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এমনই দশা-এই রান করতেই ত্রাহি অবস্থা। আফগান স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
অথচ শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রানতাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ ছিল না। একসময় ১২০ রানে দুই উইকেট তুলে ফেলেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ক্রিজে অধিনায়ক নিজে ছিলেন, মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন।
কিন্তু সেখান থেকেই ধসের শুরু। দলীয় রান যখন ১২০, তখন মোহাম্মদ নবীর বলে প্যাডল সুইপের চেষ্টা করেন শান্ত। কিন্তু টাইমিংয়ের গরমিলে তাকে শর্ট ফাইন লেগে হাশমতউল্লাহ শহীদির ক্যাচ হতে হয়। ৪৭ রানে সাঙ্গ হয় তার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত এটাই হয়ে থাকে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।
শান্ত ফেরার পর মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা একে একে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দেন। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ছয় ব্যাটার মিলে সাকুল্যে করেন ৭ রান।
আফগান বোলারদের মধ্যে নিজের ষষ্ঠ ওয়ানডে খেলতে নেমে ৬ উইকেট তুলে নেন অফ স্পিনার এএম গাজানফার। তানজিদ তামিমকে ফিরিয়ে শুরু করেন এই স্পিনার, আর শেষটা শরিফুল ইসলামের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদের পেস তোপে ৭১ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে আফগানদের চাপমুক্ত করেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৪ রান করেন নবী, শহীদির ব্যাটে আসে ৫২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সমান চারটি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ ও তাসকিন।
আগামী ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডে এখন বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।