
রাজশাহী জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি আবুল কালামের বিরুদ্ধে এক যুগ ধরে অর্থ আত্মসাৎ, পেশিশক্তি ব্যবহার করে পদ আঁকড়ে থাকা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফান্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনের একাংশ। শনিবার (১৫ মার্চ) রাজশাহীর বারোরাস্তা মোড়স্থ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন সমিতির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সাধারণ সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, সুজন আলী, হেলাল হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুর রউফ, সদস্য আলমগীর, শরিফ, কোরবান আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু দাবি করেন, আবুল কালাম ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের জন্য সমিতির তহবিল থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ তুলে দেন আবুল কালাম। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তার নাম ৬৫ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (মামলা নং-৯, বোয়ালিয়া থানা)।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর জানার পরেও বিএনপির কিছু নামধারী নেতা থানা থেকে আসামি ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে আসে। এটি দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিবাদ করার কারণে থানার ভিতরে ওসিসহ সকলের সামনে আমাকে আবুল কালাম লাথি মারে এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জয়নাল আবেদিন শিবলী, যুগ্ন আহবায়ক আসলাম সরকার, মহানগর বিএনপির সদস্য মনিরুজ্জামান শরিফ, শাহমখদুম বিএনপির সাবেক আহবায়ক জিল্লুর রহমানসহ রাজশাহী নগরীর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের কিছু নামধারী নেতা–কর্মীরা আমাদের লাঞ্ছিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে আবুল কালামের মতো একজন ব্যক্তি বছরের পর বছর সমিতির সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। তারা তাকে পদ থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সংগঠনের সদস্যদের দাবি, অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে আবুল কালামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং সমিতির নেতৃত্ব নতুন করে নির্ধারণ করা হোক।