রাজশাহীতে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নামে জমি দখলের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভূক্তোভাগী উম্মেহানি মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
তিনি মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর মির্জাপুর এলাকার জামাল উদ্দীনের মেয়ে। তার স্বামী মতিহার থানা ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক। অভিযুক্ত জামায়াতে নেতা হলেন মতিহার থানা জামায়াতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির মোজাম্মেল হক।
ভূক্তভোগী উম্মেহানি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, চার বছর আগে মহানগীর নতুন বুধপাড়ায় এলাকায় সোয়া ছয় কাঠা (৬.২৫) জমি ক্রয় করি। সেখানে গত ২০ অক্টোবর হতে জমির সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু করি। তবে ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত মহসীন সরকারে ছেলে জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হকসহ ২০-২৫ জন এসে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলো। সে পূর্ব থেকে আমার জমি দখলের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো। আমরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে জমির উত্তর দিকে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হবে তাই আমাদের ২ ফিট জমি দিতে হবে। আমরা দুই ফিট জমি তাদের কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে তারা তা কিনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জোর পূর্বক মাদ্রাসা নির্মাণ করার কথা বলে জমি দখলের হুমকি দেয়।
এতেও আমি আমার কাজ চলোমান রাখায় গেলো ২৭ অক্টোবর রাতে মোজাম্মেলের নেতৃত্বে তার সাথে ৫০ থেকে ৭০ জন গুন্ডা বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার জমির ওপরে এসে আমার লেবারদের কাজ বন্ধ করে দেয় । তার কথা মতো অবৈধ ভাবে দাবী করা আমার জমির কিছু অংশ তাকে না দিলে আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও আমার জমিতে আমি প্রবেশ করলে আমার ইজ্জতহানি ও মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনায় আমি গত ৩ নভেম্বর মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানার ওসি তা দেখার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখেন নি বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও এই ঘটনায় সেনাবাহীনি ও র্যাবের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন আইন সহায়তা পাননি বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জামায়াত নেতার মাদ্রাসার নাম করে বাড়ীর প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে জমি দখল করে নেওয়ার হুমকি এমন অনৈতিক কর্মকান্ড যাতে বড় নেতারা দেখেন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এই বিষয়ে জামায়াত নেতা মোবাইল নং এ একাধিকবার ফোন দিয়ে কল রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, ওই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রচীর সিমানা দেওয়াকে কেন্দ্র করে িএকটি ঝামেলা আছে। আমরা তদন্ত করছি এবং উভয় পক্ষকে ডেকেছি। তারপর কি হয় সেটা দেখবো নইলে আইনগত প্রক্রিয়ায় যা হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।