বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দেলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর “কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন” রাজশাহীর বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবীতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করে।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাজশাহী মহনগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকার অসীম কুমারের কাছে উক্ত স্মারকরিপি জমা দেয়।
স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশ দেখছে নতুন স্বপ্ন, তারই প্রেক্ষিতে “কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন” রাজশাহীর বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবী তুলে ধরে তা নিম্নরুপঃ
১. জেলা শহর গুলোতে ১০/১৫ টা পর্যন্ত সিএনজি পাম্প থাকলেও বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে মাত্র একটি সিএনজি পাম্প চালু আছে, সেটাও ২৪ ঘন্টা চালু থাকেনা। দুইটা সিএনজি পাম্প/স্টেশন চালু করার জন্য সবকিছ প্রস্তুত থাকলেও বিগত মেয়র সাহেবের সদিচ্ছার অভাবে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। অবিলম্বে সে দুইটি পাম্প চালু করতে হবে, যেটি চালু আছে সেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।
২. প্রশাসন ইচ্ছামত আমাদের গাড়ী গুলোকে রিকুইজিশনে যেতে বাধ্য করে, এক এলাকার ড্রাইভারকে অন্য এলাকায় পাঠিয়ে দেয়, যেটা ড্রাইভারদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। রিকুইজিশন দিতে হলে, আগে থেকে কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক অফিসে জানালে আমরাই গাড়ী ঠিক করে দিব, যেটার মাধ্যমে ড্রাইভারদের পূর্ব প্রষÍুতি নিতে সহজ হবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ও নায্য মুজুরি প্রদান করতে হবে।
৩. ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ীর চালকদের কর্ম ঘন্টা ৮ ঘন্টা করতে হবে এবং বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্মান জনক ভাতা প্রদান করতে হবে। এর বেশি সময় তাদেরকে কাজে লাগালে অভারটাইম প্রদান করতে হবে। তাদেরকে চাকুরী থেকে বাদ দিতে চাইলে কমপক্ষে ৩ মাস আগে জানাতে হবে।
৪. বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর লার্নার, গাড়ীর ফিটনেস চেকিং ইত্যাদী সার্ভিসের সার্ভিস চার্জ ৩ গুন পর্যন্ত বেশি নেওয়া হয়, এটা বন্ধ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের সরকারী ফি যেখানে ৩০০০ টাকার মতো, সেখানে তাদের ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করতে হয়।
৫. ২০১৮ সালের আইনগুলোর মধ্য থেকে যে সব আইন চালকদের সাথে সাংঘর্ষিক এমন আইন গুলো বাতিল করতে হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলার কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক হাফেজ খাইরুল ইসলাম। এছাড়াও কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের রাজশাহী জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।