অভিষেক ম্যাচটা জয় করা হলো না নাহিদ রানার। তবে আরব আমিরাতে মরুর বুকে ঠিকই নিজের গতির ঝড় তুলেছেন। সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করেছেন। দুই উইকেট পেয়েছেন নিজের কার্যকরী বোলিংয়ের সুবাদে। দিনশেষে পেয়েছেন কোচের প্রশংসাও।
১৫০ কিলোমিটার গতির বল করা রানাকে নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘আসলে আমি জিনিসটা যেভাবে দেখি তা হচ্ছে, গতি এমন একটা জিনিস যা আপনি বাজার থেকে কিনতে পারবেন না। আপনি কাউকে দ্রুত বোলিং করতে শেখাতে পারবেন না। ফলে তার মাঝে এই প্রতিভাটা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যত বেশি সম্ভব এই এক্সাইটিং ট্যালেন্টের যত্ন নিতে। সেও দারুণ এক্সাইটিং ক্রিকেটার। অ্যাটিটিউড, বলের গতি সবকিছু মিলিয়েই। দারুণ লেগেছে তার খেলা দেখতে, চেষ্টা করে যাব তাকে গড়ে তুলতে।’
ফিল সিমন্সের বাংলাদেশের আগমন অনেকটাই আকস্মিক। এরপর থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ভালো কাটেনি তার। এবার এই কোচের নজর ক্যারিবিয়ান সিরিজে ‘আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দুই টেস্টের সিরিজ ভালো যায়নি, এখানেও ভালো সিরিজ যায়নি। সেন্ট কিটসে ওয়ানডে সিরিজে এখানকার মত কন্ডিশনই থাকবে। সেন্ট ভিনসেন্টে কেমন কন্ডিশন আমি আসলে তা বলতে পারছি না। টেস্ট খেলা অ্যান্টিগা আর জ্যামাইকাতে। ছেলেরা সিরিজের জন্য মুখিয়ে আছে।’
টাইগার কোচ অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটে আক্রান্ত একটা স্কোয়াডকেই পাচ্ছেন। যদিও সেখান থেকেই লড়াই করার কথা বললেন তিনি, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বেশ কিছু চোটসমস্যা রয়েছে। তবে আমাদের এখান থেকেই লড়াই করতে হবে এবং সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।’