৭ নভেম্বর ছিলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দিবসটি সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধীতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বর্নাঢ্য র্যালি করেন। ঐ র্যালিতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মাহনগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন অংশগ্রহন করেন।
এসময়ে মোবাইলে তিনি বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নারকীয় তান্ডবে বাঙালী জাতি যখন দিশেহারা। কেউ সাহস করে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে পারেননি। ঠিক তখননি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বাঙালী জাতিকে পথ দেখান। তাঁর ডাকে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে দেশকে স্বাধীন করে। এই যুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহন করেন এবং দিক নির্দেশনা দেন ও বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার পরে তাঁর প্রাপ্য হিসেবে তৎকালীন সরকার প্রধান অকৃজ্ঞর মত মেজর জিয়াকে জেলে পাঠান।
তিনি আরো বলেন, দেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি ঘটনা ঘটে। এতে বাকশালের অবসান হয়। এরপর দেশে আরো বেশী অরাজকতা শুরু হয়। সেই অবস্থাকে সামাল দিতে সিপাহী-জনতা যৌথভাবে আন্দোলন করে মেজর জিয়াউর রহমানকে জেল থেকে বের করেন। এরপর তাঁর হাতে বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব দেন তৎকালীন নেতৃবৃন্দ। তারপর থেকে তিনি দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োগিত করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেই থেকে বিএনপি যথাযথ ভাবে এই দিনটিকে পালন করে আসছে।